মরহুম আব্দুল গফুর চৌধুরীর পরিবারে ৮৫ একর চিংড়িঘের পুনঃরুদ্ধার

টেকনাফ উপজেলার হোয়াইকং ইউনিয়নের ঝিমংখালী এলাকায় সাবেক এমপি মরহুম আব্দুল গফুর চৌধুরীর সম্পত্তি ফ্যাসিবাদের দোসর কর্তৃক জবর দখল থেকে স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় পুনঃরুদ্ধার করা হয়েছে।

জানা যায় ,টেকনাফ উপজেলার ১ নং হোয়াইক্যং মডেল ইউনিয়নের মধ্যমহ্নীলা মৌজার ৮৫

একর সম্পত্তির মূল মালিক একই উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের পানখালীর স্থানীয় বাসিন্দা সাবেক এমপি ও উপজেলা চেয়ারম্যান মরহুম আব্দুল গফুর চৌধুরী ও তার পরিবার।

সাবেক এমপি আব্দুল গফুর চৌধুরী ১৯৭৭-৭৮ সালে লীজ গ্রহন করেন। আব্দুল গফুর চৌধুরী মরণে তার পুত্র সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী এডভোকেট হেলাল উদ্দিন চৌধুরী,জলাল উদ্দিন চৌধুরী, মরহুম মাওলানা আব্দুসসালাম গং আইডিয়েল ফিশারী ও ইউনাইটেড ফিশারির নামে সরকার কর্তৃক লীজ প্রদান করা হয়।

মালিক কতৃপক্ষ নিজেদের ভোগদখলে থাকা চিংড়িঘেরের উপযোগী করতে লাখ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে চিংড়ির চাষাবাদ করে যুগ যুগ ধরে।

বৈধ সকল কাগজপত্র লীজ গ্রহীতা হেলাল উদ্দিন চৌধুরী গং এর থাকলেও উক্ত চিংড়ি ঘের বিগত আওয়ামী লীগের শাসনামলে সাবেক এমপি বদি’র নাম বিক্রি করে আওয়ামীলীগ,কৃষক লীগ,যুবলীগ মিলে অবৈধ অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে জবর দখল করে। দীর্ঘ ১৬ বছর আওয়ামীলীগের চিহ্নিত দোসররা দলীয় ক্ষমতার দাপটে অবৈধ ভাবে জবরদখলে রাখে এই চিংড়ি ঘের।

হেলাল উদ্দিন চৌধুরী গং তাদের চিংড়ি ঘের জবরদখলকারীদের কবল থেকে পুনরুদ্ধারে আওয়ামী শাসনামলে প্রশাসন ও রাজনৈতিক নেতাদের দ্বারে দ্বারে ধর্না দিয়েও কোন প্রতিকার পাওয়া যায়নি।

৫ আগষ্ট ২০২৪ ফ্যাসিবাদের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার রাষ্ট্র মেরামতের দায়িত্ব নিলে

চিংড়ি ঘেরের মূল মালিক হেলাল উদ্দিন চৌধুরী গংদের হতাশার বুকে আশার আলো জ্বলে।

গতকাল শনিবার ৭ ডিসেম্বর সকাল ১১ টায় সিনিয়র আইনজীবী এডভোকেট হেলাল উদ্দিন চৌধুরী,আফসার উদ্দিন চৌধুরী, মাঈনুদ্দিন চৌধুরী সহ তাদের আত্মীয় স্বজন প্রশাসনের সহযোগিতায় বিনা বাধায় কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই উক্ত চিংড়ি ঘের পুনরুদ্ধার করে।

এডভোকেট হেলাল উদ্দিন চৌধুরী এজন্য আল্লাহর শুকরিয়া ও প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।